মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি হলো এমন একটি কৌশল, যার মাধ্যমে নিজের products এবং services এর প্রতি সম্ভাব্য গ্রাহকদের, আগ্রহী করে তোলা হয়।
মূলত মার্কেটিং এর প্রকার ২ টি।
1. B2B – Business to business
2. B2C – Business to consumer
Business to business (B2B) মার্কেটিং কে B-to-B marketing বলেও বলা হয়।
এটা মার্কেটিং এর এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে, ব্যবসায়ী দের মাঝখানে লেনদেন (transactions) করা হয়। ধরুন আপনি একটি manufacture company এবং আপনি আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করছেন একজন wholesaler এর কাছে। বা, একটি wholesaler business এর সাথে লেনদেন বা প্রমোশন ঘটিত হচ্ছে একটি retail business এর মধ্যে।
মনে রাখবেন, এই ক্ষেত্রে একটি ব্যবসা কিন্তু সাধারণ গ্রাহকের কাছে কোনো রকমের লেনদেন, প্রচার বা মার্কেটিং করছেননা।
এভাবে, একটি business অন্য একটি business এর সাথে বা কাছে করা মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় “business to business” মার্কেটিং।
B2C র ক্ষেত্রে, আমরা সরাসরি উপভোক্তা (consumer) বা গ্রাহক দের টার্গেট করে, প্রচার, প্রমোশন বা এডভার্টাইসিং (advertising) বা অন্যান্য মার্কেটিং এর কৌশল গুলি এপলাই করি।
ধরুন আপনি একটি কলমের মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন।
এখন, যদি আপনি সেই কলমটি নিয়ে সাধারণ লোকেদের মধ্যে গিয়ে প্রচার, প্রমোশন বা এডভার্টাইসিং করেন, তাহলে সেটাকে B2C মার্কেটিং বলা হয়।
তাই, business to consumer হলো এমন এক মার্কেটিং কৌশল, যেখানে জনসাধারণের কাছে (individual people) গিয়ে ব্যবসার প্রচার করা হয়।
এই ক্ষেত্রে, অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করা হয়।
ওপরে আপরা জেনে নিলাম যে, “মার্কেটিং কাকে বলে”.
এখন নিচে আমরা জানবো, “কিভাবে মার্কেটিং করা হয়” বা কি কি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে product & services গুলির marketing করা যেতে পারে।
এমনিতে আমরা ৩ টি কৌশল বা স্ট্রাটাজি ব্যবহার করে পণ্যের মার্কেটিং করতে পারি।
● Traditional marketing
● Digital marketing
● Word of mouth
এই ক্ষেত্রে, কিছু পুরোনো এবং বর্তমানে অনেক খানি লুপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু কৌশল ব্যবহার করে marketing করা হয়।Newspaper, templates, banners, TV তে বিজ্ঞাপন, radio তে বিজ্ঞাপন ইত্যাদি, কিছু গতানুগতিক (traditional) প্রক্রিয়া গুলি এই traditional marketing এর প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।এই প্রক্রিয়াতে physical advertising সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে, বর্তমান সময়ে এই ধরণের physical marketing প্রক্রিয়া গুলির ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে।কারণ, এই ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের টার্গেট করা কঠিন!
Online এ internet এর মাধ্যমে করা মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াকেই বলা হয় “Digital marketing“. ডিজিটাল মার্কেটিং কে, “অনলাইন মার্কেটিং” বা “ইন্টারনেট মার্কেটিং” বলেও বলা হয়।
বর্তমান সময়ে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা এই আধুনিক মার্কেটিং এর কৌশল অনেক জনপ্রিয় এবং কার্যকর।এর মাধ্যমে, আপনি অনেক সহজেই ঘরে বসে বসে লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের কাছে নিজের product বা services প্রমোশন করতে পারবেন।কারণ, এখানে ব্যবহার হচ্ছে ইন্টারনেটের, এবং ইন্টারনেটে যেকোনো সময় কোটি কোটি লোকেরা সক্রিয় থাকেন।
আজ যেকোনো ছোট বা বড় কোম্পানি বা ব্যবসা গুলি, এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের brand এবং products গুলির প্রচার চলিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া, অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, আপনি নিজের বাজেট (budget) হিসেবে promotion বা advertisement করতে পারবেন।
এর মাধ্যমে, আপনি যেকোনো product, image, service, business, brand, blog, website বা video content, ঘরে বসে থাকা targeted audience এর কাছে promote করতে পারবেন।
তবে, Digital marketing বা internet marketing এর মাধ্যমে online marketing করার বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে।
Social media marketing : এই ক্ষেত্রে social media platform গুলির মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার চলানো হয়।
Content marketing : অনলাইনে কনটেন্ট (text/image/video) পাবলিশ করে মার্কেটিং করা হয়।
Affiliate marketing : বর্তমান সময়ে, অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এই এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে, কমিশন আয়ের বিনিময়ে blogger, YouTuber বা freelancers দের দিয়ে পণ্যের মার্কেটিং করানো হয়।
Email marketing : ইমেইল পাঠিয়ে করা প্রক্রিয়াকেই email marketing হলে হয়।
Paid advertisements : অনলাইনে কিছু জনপ্রিয় advertisement company যেমন, “Google ads”, “Facebook ads” ইত্যাদি দের টাকা দিয়ে, targeted audience এর কাছে করা হয় paid marketing.
SEO (search engine optimization) : ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন (Google, Yahoo, Bing) গুলির মাধ্যমে organic ভাবে কোনো টাকা না দিয়ে করা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, SEO র কৌশল এর প্রয়োজন।
এগুলি ছাড়াও আরো কিছু প্রকার রয়েছে যেগুলি digital marketing এর প্রক্রিয়ার ভেতরে ধরা হয়।তবে, এগুলি কিন্তু সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সেরা।
Word of mouth: এমনিতে, এই মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া যথেষ্ট লাভজনক এবং এর মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন কোম্পানি গুলি প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিং (word of mouth marketing) প্রক্রিয়াটি কেবল তখন সম্পন্ন হয় যখন,গ্রাহকের বা উপভোক্তার, product বা service টি ভালো লাগবে এবং তারা সেই product এর বিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
আপনি ভেবে দেখুন, যখন আপনার যেকোনো একটি মোবাইলের মডেল ব্যবহার করে ভালো লাগে, তখন আপনি কি করেন ?
সেই মোবাইলের গুন্ এবং ফীচার গুলির ব্যাপারে অবশই নিজের পরিবারের সদস্যদের বা বন্ধুদের বলেন। সোজা ভাবে বললে, মোবাইলটি অন্যের কাছে প্রোমোট করেন।
এতে, সেই মোবাইলের মডেল ও কোম্পানি বা ব্রান্ডের (brand) ফ্রীতেই মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে, এবং সেটা করছে একজন উপভোক্তা বা গ্রাহক হিসেবে আপনি নিজেই।R
edmi, Oppo, poco বা realme, এই ধরণের smartphone গুলি যখন বাজারে এসেছিলো, তখন এদের ব্যাপারে আমরা কেও জানতামনা। তবে, এই word-of-mouth marketing এর মাধ্যমেই আজ এই mobile brand গুলি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই মোবাইলের কোম্পানি গুলি অনেক কম দামেই স্মার্টফোন তৈরি করছেন এবং যথেষ্ট ভালো ভালো features এবং function সেখানে রয়েছে। আর তাই, মোবাইল গুলি যারা ব্যবহার করছেন, তারা প্রত্যেককেই এই মোবাইল গুলি কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে, সাধারণ লোকের মাধ্যমেই মার্কেটিং এর কাজ হয়ে যাচ্ছে।